নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি, বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের সভা-সমাবেশে হামলা-বাধা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে আগামী ২ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ। আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়া সভায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ, দলের আর্থিক সংকট নিরসনে ‘পাবলিক ফান্ড’ সংগ্রহ করা এবং আগামী ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী দলের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এখন খাদের কিনারায়। আর কিছুদিন গেলে হয়তো খাদ্য আমদানির মতো কোনো অর্থ থাকবে না। গত ১৩ বছরে এই সরকার দেশটাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ আওয়ামী লীগ সরকারকে অতি দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে সেই সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, সরকার টের পেয়েছে তারা আর ক্ষমতায় থাকার মতো অবস্থায় নেই। যে কোনো সময় তারা গণজোয়ারে ভেসে যাবে। দেশের অর্থনীতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে রাতের ভোটের এই সরকার এখন নিজেই বেকায়দায় পড়েছে। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। তাই জনগণকে ভয় দেখাতে হামলা-মামলা ও গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। তবে জনগণ এসবে আর ভয় পায় না।’ তিনি পুলিশ-প্রশাসনে কর্মরতদের সংবিধান ও চাকরিবিধি মেনে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। দলীয় কার্যালয় রক্ষায় নেতারা নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।