বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। সুন্দর ফুটবল মানেও তাই। কিন্তু হঠাৎ মরুঝড়ে লিওনেল মেসি-ম্যাজিক হারিয়ে যওয়ার পর মন ভালো নেই বাঙালি দর্শকের একাংশের। লাতিন ফুটবলের সমঝদারদেরও মন ভালো নেই। নেইমাররা কি পারবেন তাদের মুখে হাসি ফোটাতে? নাকি লাতিন ফুটবলের জন্য আরও একটা মন খারাপের দিন অপেক্ষা করছে আজ?
আর্জেন্টিনার মতো কাতার বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ব্রাজিল। আর তাদের মতো প্রতিপক্ষের চেয়ে সাফল্যের নিরিখে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে নেইমাররা। পাঁচটি বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। সেই তুলনায় সার্বিয়ার কোনো আভিজাত্য নেই। যেন তাজমহলের পাশে কুঁড়েঘর। তা ছাড়া ফর্মের চূড়ায় থেকে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে ব্রাজিল।
২০১৬ সালে কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে বদলে দিয়েছেন তিতে। তার আমলে ৭৬ ম্যাচের ৫৭টিতে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ১৪ ম্যাচ ড্র করেছে। মাত্র ৫ ম্যাচ হেরেছে তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৮ জয়, ৯ ড্র আর ৩ হার। এমন ফর্মে থাকা দল নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন ব্রাজিলের কোচ তিতে, ‘রাশিয়া থেকে কাতার—দুই বিশ্বকাপের মধ্যবর্তী সময়টা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। যেভাবে আমি নেইমারের সঙ্গে কথা বলব, দানি আলভেসের সঙ্গে সেটাই যে অন্যভাবে বলতে হবে—এ ব্যাপারটা আমি শিখেছি। তা ছাড়া এই দলটাও অন্যরকম।’
বিশ্বকাপের সেরা আক্রমণভাগ এখন ব্রাজিলের। নেইমারের সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আছেন। মাঝমাঠে আছেন ক্যাসেমিরো-রদ্রিগো। সবচেয়ে বড় কথা, দল হিসেবে দারুণ খেলছে ব্রাজিল। যে কারণে নির্দ্বিধায় নিজেদের ফেভারিট বলতে পারছেন নেইমার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে চমকের কোনো অভাব নেই। এখানে এমন দল দেখা যায়, প্রত্যাশা তেমন না থাকার পরও অনেক দূর যায়। আবার অনেক ফেভারিট বিদায় নেয় দ্রুতই। আমি মনে করি, এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও ফেভারিট। ফেভারিট ফ্রান্স ও স্পেনও।’ পরিসংখ্যানও ব্রাজিলের পক্ষে কথা বলছে। বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পায় ব্রাজিল।