ক্যারিয়ার গড়তে মোবাইল ও প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে : জরিপ
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
ক্যারিয়ার গড়তে মোবাইল ও প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে : জরিপ
ক্যারিয়ার গড়তে ও দক্ষতার উন্নয়নে স্মার্টফোন ও অন্যান্য প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন ৬৯ শতাংশ বাংলাদেশি। শুধু তাই নয়, করোনা পরবর্তী বাস্তবতায়, নতুন কর্মপরিবেশে খুব দ্রুত খাপ খাওয়াতে অন্যতম সহায়ক ছিল স্মার্টফোন তথা প্রযুক্তি।
২৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ২০২২ সালে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৮টি দেশে ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক জরিপ পরিচালনা করে টেলিনর এশিয়া। সম্প্রতি জরিপ থেকে এসব তথ্য ওঠে আসে।
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রায় ৮ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় ৫৭ শতাংশ বাংলাদেশি জানান, মোবাইল ডিভাইস ও প্রযুক্তির কারণে তাদের উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ বা তার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে; যেখানে ২৬ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি।
লিঙ্গ-ভিত্তিক ফলাফল থেকে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ নারী ও ৬৭ শতাংশ পুরুষ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, ক্যারিয়ার ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের উন্নতি হয়েছে। ৫৭ শতাংশ মনে করেন, মোবাইল ডিভাইস থেকে আয়ের নতুন উৎস তৈরি হতে পারে। ৫৪ শতাংশ জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে নতুন চাকরি ও ক্যারিয়ারের সুযোগ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজের উদ্দেশ্যে আগামী ৬-১২ মাসের মধ্যে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বাড়াবেন বলে বিশ্বাস করেন ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা। এ ছাড়া মোবাইল প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহারে এবং/অথবা কাজের ক্ষেত্রে এর ফিচারগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় সবচেয়ে বড় বাধা বলে জানিয়েছেন ৬১ শতাংশ বাংলাদেশি। আর প্রযুক্তির ওপর ভরসা না পাওয়া এবং এ সংক্রান্ত দক্ষতা ও জ্ঞানের অভাবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না যথাক্রমে ৪৯ ও ৬০ শতাংশ মানুষ।
৯১ শতাংশ মনে করছে বাংলাদেশে মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে।
সমীক্ষার উদ্দেশ্য ও মূল বিষয় সম্পর্কে টেলিনর এশিয়ার হেড ইয়র্গেন রোস্ত্রাপ বলেন, ‘আমাদের গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা, প্রবৃদ্ধি, সহজলভ্যতা ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা নিয়ে শহর ও গ্রামের মানুষ, বড় প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগ, বিভিন্ন শিল্পখাত এমনকি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে অধীস্তন কর্মীদের পার্থক্য রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে, আর এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা ও সমক্ষতা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। অনেকসময় বিশ্বাসের ঘাটতির কারণে কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের সম্ভাবনার বিকাশে অনেকেই মোবাইলের পূর্ণ ব্যবহার করছেন না। অনলাইনে কাজের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সমীক্ষার ফলাফল সঠিক টুল ব্যবহারে এবং ব্যবধান কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের মাধ্যমে ডিজিটাল কাজের পরিবেশ উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে।’
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
বিএনপি নেতা জাকির বহিষ্কার
১
আওয়ামী প্রেতাত্মারা নব্য বিএনপি সেজে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে : আমিনুল হক
২
আ.লীগ নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার
৩
কুয়েত সফরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান
৪
‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব
৫
নাট্যোৎসব বন্ধের নির্দেশনা পুলিশ দেয়নি : ডিএমপি
৬
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রধান কারণ ঐক্যহীনতা : আবিদ
৭
ডিজিটাল রিপোর্টার্স ফোরামের যাত্রা শুরু
৮
‘নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচন করতে নির্দেশ দেন এক ভাইস চেয়ারম্যান’