১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ১৩ শতাংশ লোকবল কমে যাবে। করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে আয় কমে যাওয়ায়, খরচ কমাতে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানান মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ। তবে চাকরিচ্যুত কর্মীরা দক্ষ, মেধাবী এবং মেটার জন্য অবদান রেখেছিলেন বলে দাবি করেন মার্ক।
আজ বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান মার্ক জুকারবার্গ নিজেই। বিজ্ঞপ্তিতে কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া নিজের বার্তা তুলে ধরেন তিনি। মেটার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ চাকরিচ্যুতির ঘটনা এটিই প্রথম।
মার্ক বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে প্রযুক্তি খাতে যে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি দেখা যায়, বিশেষ করে ই-কমার্স খাতে সেটি খুব দ্রুতই খারাপের দিকে যেতে থাকে। আমরা অনুমান করেছিলাম যে, এই প্রবৃদ্ধি আরও বেশি সময় থাকবে, ফলে আমরা অধিকসংখ্যক কর্মী আমাদের পরিবারে যুক্ত করেছিলাম। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি যে আসবে, সেটি আমি নিজেও বুঝতে পারিনি। এ জন্যই আমরা খরচ কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি আগামী প্রান্তিক (২০২৩ সালের প্রথম তিন মাস) থেকে কর্মী নিয়োগের পরিমাণ আমরা কমিয়ে দিচ্ছি।’
আমাদের কর্মীরা মেধাবী, দক্ষ এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের অবদান রয়েছে।
চাকরি হারানো কর্মীরা যেন দ্রুতই অন্য কোথাও চাকরি পান, সেজন্যও সহায়তা করবে মেটা।
চাকরিচ্যুত হলেও কর্মীদের আগামী ১৬ সপ্তাহ মূল বেতন এবং প্রতি বছর চাকরির জন্য দুই সপ্তাহের পুরো বেতন দেবে মেটা। পাশাপাশি বাকি থাকা বৈতনিক ছুটি, স্বাস্থ্যবীমা এবং প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন সহায়তাও দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া চাকরি হারানো কর্মীরা যেন দ্রুতই অন্য কোথাও চাকরি পান, সেজন্যও সহায়তা করবে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা।
চাকরি হারানো কর্মীদের মাঝে মেটার অ্যাপ এবং রিয়েলিটি ল্যাব; দুই বিভাগের সদস্যই আছেন বলে কর্মীদের জানান মার্ক জুকারবার্গ।