কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একমত ইরান-সৌদি আরব

কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একমত ইরান-সৌদি আরব
কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে একমত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। আজ শুক্রবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বৈঠকের পর এ বিষয়ে একমত হয় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, বৈঠকের ফলে দুই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দূতাবাস পুনরায় খোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পর রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের প্রস্তুতি নিতে সাক্ষাৎ করবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে এ বিষয়ে সৌদি আরবের কোনো সংবাদমাধ্যম এখনো নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। ২০১৬ সাল থেকে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে। তবে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে দুই দেশই। গত কয়েক বছরে ইরাকের বাগদাদে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়। এ বিষয়ে ইরাকের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ওমানও। এর আগে এক দিনে ৮১ জনের মৃতুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব সরকার, যাদের অধিকাংশ শিয়া মুসলিম। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী এক ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনার জেরেই ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানে। এ ছাড়া ইয়েমেন যুদ্ধে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। ইয়েমেন সরকারের পক্ষে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা। এদিকে ইরান-সৌদি সম্পর্কের উন্নয়ন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। আলজাজিরার সাংবাদিক আলি হাশেম বলেন, ‘এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ হলেই এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। যেমন ইয়েমেন ও লেবাননের কথা বলা যায়। এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা এসব দেশে তাদের মধ্যে সমঝোতা দেখতে পাব। এই চুক্তি এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এসব দেশে তাদের অনেক স্বার্থ রয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারাগঞ্জে পৃথক অভিযানে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড

মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনার জামায়াত নেতা নিহত

মায়ের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে তারেক রহমান

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা 

ডিসেম্বরের ২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৩ হাজার কোটি টাকা

‘নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে লিপ্তরাই দেশকে ১৭ বছরের জঞ্জালে ঠেলে দিতে চায়’ 

জাতীয় পার্টির (জাফর) নতুন মহাসচিব নওয়াব আলী আব্বাস 

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য : আমিনুল 

উত্তরাঞ্চলে আলুর রেকর্ড, উৎপাদন এখন কৃষকদের গলার কাঁটা

পদত্যাগকারীদের বিষয়ে নাহিদের বক্তব্য

১০

দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় মামলা

১১

বঞ্চিত হয়েও বিএনপির নামেই মনোনয়ন কিনলেন ৫ নেতা

১২

সাবেক এমপির বিএনপি থেকে পদত্যাগ

১৩

ভোটকেন্দ্র মেরামত ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনে ইসির নির্দেশ

১৪

৩০০ ফিটে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বৃক্ষরোপণ করল অ্যাব 

১৫

সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

১৬

ইনকিলাব মঞ্চের সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার মহাসড়কে অচলাবস্থা

১৭

সাতক্ষীরার চারটি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা

১৮

বন্দরের অতিরিক্ত ভারী যানবাহনে বছরে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি চসিকের

১৯

প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

২০
X